মাজহারুল ইসলাম রাসেল
নরসিংদীতে মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় শহরের শেরে বাংলা ক্লাবে শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আশরাফ হোসেন সরকারের উদ্যোগে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলার মোট ৬৫ জন মুক্তিযুদ্ধার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন ভূইয়া মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শুভাষ সাহা, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনেট সদস্য রঞ্জিত সাহা, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান আজিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা, মনছুর আলী, মনিরুজ্জামান ছোট্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন, আসাদুজ্জামান খোকা প্রমূখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর , মুক্তিযোদ্ধা আরমান মিয়া, নরসিংদী জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, সদর তাতীলীগের আহবায়ক আশিকুর রহমান, শহর তাতীলীগের আহবায়ক হিরো সরকার, শেখ রাসেল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ করিম সরকার রাজা প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় আশরাফ হোসেন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতীক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাথা গণবীরত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।
তিনি বলেন যারা বুকে তাজা রক্ত ঢেলে এবং যারা মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান সবকিছু ফেলে আমাদের জন্য নতুন সূর্য ও একটি পতাকা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। যারা দীর্ঘ ৯ মাস বনে বাদাড়ে ঘুরে আধা খেয়ে আবার না খেয়ে দেশমাতৃকার টানে প্রাণপনে যুদ্ধ করে গেছে এ দেশকে করেছেন শত্রুমুক্ত সেই সকল বীর সন্তানদের স্থান সব সময় আমার কাছে সবার উধ্বে। আজ বিজয়ের এইক্ষণে এখানে দাড়িঁয়ে সেই সকল বীরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি গভীর বেদনা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেই সকল বীর সন্তানদের যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।।
পরে জাতির এই সন্তানদের সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়। সকলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আশরাফ হোসেন সরকার মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।