খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুরে মুনিয়া বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শিবপুর থানা পুলিশ । নিহতের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে মুনিয়াকে হত্যা করে তার গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও কান্দাপাড়া এলাকার নিহতের শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মুনিয়া বেগম রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া গ্রামের রাজা মিয়ার কণ্যা এবং কামারগাঁও কান্দাপাড়া এলাকার বজলু মিয়ার ছেলে আজিজুল মিয়ার স্ত্রী। নিহত মুনিয়া বেগমের একটি ছেলে সন্তান ও এক বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহত মুনিয়া বেগমের চাচা স্বপন মিয়া জানান দীর্ঘ ৭ বছর হয় পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও কান্দাপাড়া এলাকার বজলু মিয়ার ছেলে সাথে মুনিয়া বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সাংসারিক জীবন ভাল ভাবেই চলছিল। এরইমধ্যে মুনিয়ার কোলজুড়ে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান আসে। সাম্প্রতিক সময়ে
স্বামী আজিজুল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়লে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও কলহ সৃষ্টি হয়। গত ১০/১২ দিন আগে মুনিয়া বাপের বাড়ি গিয়ে উঠে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বামীর বাড়ি পাঠায়। এরমধ্যে বুধবার দিবাগত রাত স্বামীর বাড়ি থেকে ফোনে তার মৃত্যুর খবর আসে।তারপর চাচা স্বপন মিয়া সেখানে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তিনি জরুরী পুলিশ সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
স্বপন মিয়া বলেন, মুনিয়ার লাশ দেখে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার মত আমার হয়নি। আমার ভাতিজি মুনিয়া বেগমকে হত্যার পর তার গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের কাঠের ধন্যার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বাবা রাজা মিয়া বলেন, মেয়ের সাংসারিক অশান্তির কথা ভেবে গত কিছুদিন আগে ঘরের বিভিন্ন ফার্নিচার কিনে দিয়েছি। মেয়ের শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বলা যাবে।