আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাদুকা পায়ে প্রভাতফেরি!

খাসখবর প্রতিবেদক

মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মরনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বের করা প্রভাতফেরি ও মৌন মিছিলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পাদুকা পায়ে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় প্রভাতফেরি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, মুক্তিযোদ্ধা সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রভাতফেরিতে স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তিকে নগ্ন পায়ে দেখা গেলেও তবে বেশির ভাগ মানুষকে জুতা পায়ে অংশ নিতে গেছে। এর মধ্যে প্রভাতফেরির সামনের সারিতে থাকা রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সাদেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ তাহমিনা মানিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য সকলকে জুতা পায়ে দেখা গেছে।

জুতা পায়ে প্রভাত ফেরিতে অংশগ্রহণ করায় শহীদদের অবমাননা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জুতা পায়ে প্রভাতফেরি করা যায় আমার তা জানা ছিলনা। মানুষের মাঝে দেশপ্রেম হারিয়ে গেছে। নাহলে এরকম হওয়ার কথা নয়। দেশের সাধারণ মানুষ এ ভুলটা করলেও প্রশাসনে কর্তা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা মেনে নেওয়া যায়না।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ তাহমিনা মানিক’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের কাছে এ বিষয়ে কোন প্রমান আছে কিনা জানতে চান। জবাবে প্রমান হিসেবে প্রভাতফেরির ছবি আছে এমনটা জানালে তিনি কিছুক্ষণ এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে ফোন কলটি রেকর্ড করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর ঠিক ১২ মিনিট পর তিনি ফোন করে জানান, রাস্তায় অনেকে ময়লা থুতু ফেলা হয় তাছাড়া রাতে বৃষ্টি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে সবাই জুতা পায়ে রেখেই প্রভাতফেরিতে অংশ নেয়।

রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছাদেক’র মোবাইল ফোন ০১৭১৮৭২৮২০০ নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাত হোসেন’র মোবাইল ফোন ০১৭৬২৬৮৭০১৬ এই নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে রিং বাজলেও তিনি তা রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পরে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর হোসে ‘র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চলমান করোনাকালীন খালি পায়ে হাটাচলায় সংক্রামণ ছড়াতে পারে এই আশংকায় স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্তের পর সকলে জুতা পড়ে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ