খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীতে ইউপি সদস্য রাজা মিয়া জনির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। বুধবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে আততায়ীর হাতে নিহত রাজা মিয়ার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের স্ত্রী হাশুরা বেগম। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নিহত ইউপি সদস্য রাজা মিয়ার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী হত্যার প্রায় দুই বৎসর পূর্ণ হতে চলেছে। নজরপুর ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, মতিউল্লা ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার স্বামী রাজা মিয়া জনিকে ২০১৯ সালোর ২৮ আগস্ট তারিথে এলাকার কুচক্রী মহল অপু গংয়ের বাড়ির লোকজন রাতের আঁধারে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যা দুই বৎসরেও পর্যন্ত আমরা আমার স্বামী হত্যার বিচার পাইনি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ১৬ জনকে আসামি করে নরসিংদী জজ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। আদালত নরসিংদী ডিবি পুলিশকে তদন্তের ভার দিলে ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে চার্জশিট থেকে আট জনের নাম বাদ দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে আমি কোর্টে নারাজি আবেদন করি। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারণে বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যার পর হত্যাকারীরা বাড়িঘর ত্যাগ করে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু বর্তমানে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বাড়ীঘরে ফিরে আসতে নানা কূট-কৌশল চালাচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন ভাবে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে আমি স্থানী সংসদ সদস্য, প্রশাসন, নজরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছি। খুনি চক্রের ভয়ে আমি আমার ৩ সন্তান নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার মা আখ্যা দিয়ে বলে, ‘ আপনি দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে । বিশ্ব দরবারে আজ আপনি মানবতার মা হিসেবে পরিচিত। পিতা হারা আমার ৩ টি এতিম সন্তানের কথা বিবেচনায় আমাদের পরিবারের নিরাপত্তায় আপনার কাছে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাদীসহ নজরপুর ইউনিয়নে তাদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নজরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন,সহ সভাপতি ইসমাইল কাজী,নজরপুর ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাইয়ুম মিয়া, নিহতের মেয়ে রুবিনা আক্তার (২২), চাঁদনী আক্তার (২০),ছেলে শাহাদাত হোসেন (১৭) সহ এলাকার কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।