আজ ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও আরিফ হত্যা মামলায় জড়িত ৪ ডাকাত গ্রেফতার

খাসখবর প্রতিবেদক

নরসিংদীতে ডাকাতি ও গৃহ কর্তার ছেলেকে খুনের সাথে জড়িত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। সেই সাথে লুন্ঠিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম।

আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার বটতলী গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো: শেখ ফরিদ (৩৫), একই উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাজা মিয়া (৩২), চর আড়ালিয়া গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৩) ও রাজনগর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মো: দুলাল মিয়া ।

পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৩ টার দিকে নরসিংদী মডেল থানাধীন দক্ষিন নাগরিয়া কান্দি এলাকার মোবারক হোসেন তিনতলা বাড়ীর পেছনের দিকের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে ৭/ ৮ জনের একটি ডাকাত দল। তারা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং হাত পা বেধে ফেলে। ডাকাত দলের সদস্যরা টাকা ও স্বর্নালংকার লুট শুরু করলে গৃহকর্তার ছেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন আরিফ বাধা প্রদান করলে ডাকাতরা তাকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে। আরিফকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করার দৃশ্য দেখে বাড়ির লোকজন আর্তচিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন এসে আরিফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ডাকাত দল ২ ভরি ৬ আনা স্বর্নালংকার ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৮ জুলাই মোবারক হোসেন নরসিংদী মডেল থানা একটি এজাহার দায়ের করেন।

তিনি জানান ঘটনার পর জেলা পুলিশ অভিযানে নামে এবং গত ২২ জুলাই ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরের মরিচা কান্দি এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত মো: শেখ ফরিদকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অন্য আসামীদের গ্রেফাতারে অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ । গত ২৫ জুলাই উপজেলার হাইরমারা বাজার থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেন। এসময় তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন আমিরগঞ্জ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ডাকাতির ভাগের টাকা ও আমিরগঞ্জ বাজার একটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আল আমিনের দেওয়া তথ্য মতে উপজেলা রাজনগর গ্রামের দুলালকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে গ্রেফতারকৃত বাকী তিন জন ডাকাতি ও হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এঘটানার আরও তিনজন জড়িত থাকা প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্রেখ্য গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের নামে এর আগেও বিভিন্ন থানা ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ