আজ ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খায়রুল কবির খোকনসহ আড়াই শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদীতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন ও সোমবার গ্রেফতারকৃত ৬ জনসহ ৭২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে নরসিংদী মডেল থানার এসআই আবদুল আলীম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

রাতে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজহারে আসামিদের বিরুদ্ধে সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, ইটপাটকেল ছুড়ে পুলিশের ওপর হামলা এবং অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।

এজহারে উল্লেখ করা হয়, সোমবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা নরসিংদী সদরের চিনিশপুর এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দলীয় সমাবেশ করছিলেন। পুলিশ তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান । এ সময় ইটের আঘাতে আবু সাইদ ও সবুজ মিয়া নামে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোট ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ছোট-বড় ২০টি ইটের টুকরো, ৫টি কাঠের লাঠি, ৩/৪ টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ ও ছোট-বড় কিছু কাঁচের টুকরা উদ্ধার করা হয়।

বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির জেলা কার্যালয়ের সমাবেশ করছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ কার্যালয়ের আশপাশে ঘেরাও করে। তখন গেট দিয়ে কেউ বের হলেই পুলিশ তাকে আটক করছিল বলে তারা দাবি করেন। গ্রেফতারের ভয়ে নেতাকর্মীরা কেউ বের না হয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। পুলিশ কার্যালয়ের চারপাশ ঘিরে রাখায় নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বলে দাবি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।

তবে কার্যালয় ঘিরে রাখার বিষয়টি শুরু থেকেই করে অস্বীকার করে আসছিল পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে কোনো রকম পুলিশি বাধা ছাড়াই নরসিংদীর চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে যান খায়রুল কবির খোকন। ভিতরে থাকা নেতাকর্মীরা রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সরে গেলে কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাড়ী ফিরেন।

এ ব‍্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সওগাতুল আলম জানান, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এই মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আটক ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ