খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীর মেঘনা নদী বর্তমানে কচুরিপানার দখলে। নদীপথ জুড়ে ভর্তি হয়ে আছে কচুরিপানায়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল। এদিকে মেঘনায় কচুরিপানার আধিপত্যে তীব্র জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে রায়পুরা উপজেলার মনিপুরার সাথে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে চরম দূর্ভোগের নরসিংদী চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
জানা যায়, গত ২০/২৫ দিন যাবত মনিপুরা খেয়াঘাটের দুই দিক দিয়ে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্ট কচুরির জটের কারণে রায়পুরাধীন মনিপুরা বাজারের সাথে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে খোদাদিলা গ্রামসহ আশপাশে শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষসহ প্রায় ২০ হাজার নদী পথে চলাচলকারী মানুষ মারাত্মকভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এতে দীর্ঘ ২০/২৫ দিন ধরে নদী পথে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষগুলোর জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। লোকজন সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। ইঞ্জিন চালিত নৌকা গুলো দীর্ঘ কচুরিপানার জট কেটে পৌঁছাতে সময় লাগছে কয়েকগুণ।
এলাকাবাসী জানায়, এসব ভাসমান কচুরিপানা উৎস হচ্ছে মেঘনায় স্থাপিত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ মাছের ঘের। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সমতল এলাকা থেকে আম, জামসহ বিভিন্ন গাছ গাছালি ডালপালা ফেলে এসব ঘের তৈরি করা হয়। এর ওপর কচুরিপানা দিয়ে চারদিকে দড়ি দিয়ে বেধে কচুরিপানা গুলো আটকে রাখে। পুরো বর্ষা জুড়ে তৈরি করা ওইসব ঘের থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। পক্ষান্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নদী এবং নদী পাড়ের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের সাধারণ মানুষ এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিকেলে স্থানীয় হাজী আব্দুল মালেক মেম্বারের বাড়িতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
হাজী আব্দুল মালেক মেম্বারের সভাপতিত্বে গ্রামবাসীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবুল কাশেম মেম্বার, সফর আলী মেম্বার, ফাহীম সিদ্দীকী জয়নাল আবদীন সরকার, সাইফুল ইসলাম তারা, গোলাম মোস্তফা, মস্তফা মিয়া সেলিম মিয়াসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ।
এসময় বক্তারা অবৈধ ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেন এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।