আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেই ওসি ফিরোজ তালুকদারকে প্রত‍্যাহার

খাসখবর প্রতিবেদক

প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে অভিযোগ না নিয়ে ওসি বলেন, বেঁচে আছেন শুকরিয়া করেন’ শিরোনামে সংবাদটির পরিপ্রেক্ষিতে সেই ওসি ফিরোজ তালুকদারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদারকে থানার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নতুন ওসি হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

ছিনতাইয়ের অভিযোগ দিতে গেলে ‘বেঁচে আছেন, এই শুকরিয়া করে বাড়ি চলে যান নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার ’এই বলেন। এঘটনায় গত ১৯ সেপ্টম্বর সোমবার সংবাদটি প্রথম আলোর অনলানে সংবাদটি প্রকাশ পায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফারিয়া আফরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নরসিংদী মডেল থানার ওসির দায়িত্ব থেকে মো. ফিরোজ তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া এরই মধ্যে তাঁর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। আর ফিরোজ তালুকদারকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

ওই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ১০ সেপ্টেম্বর রাতে বাসের টিকিট না পেয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে প্রাইভেট কারে ঢাকায় আসছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আল-মামুন। এ সময় যাত্রী ছদ্মবেশে থাকা চার ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি। গাড়িটি নরসিংদীতে আসার পর তাঁর হাত-পা ও চোখ বেঁধে, গলায় ছুরি ধরে পকেটে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে মানিব্যাগে থাকা ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর জেনে নরসিংদীতে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা তুলে নেয় ছিনতাইকারীরা। একপর্যায়ে ২০০ টাকা পকেটে দিয়ে আল-মামুনকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাবুরহাট এলাকার একটি হোটেলের সামনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। ওই সময় এক নিরাপত্তাকর্মীর মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করেন তিনি। পরে তাঁর ফোন পেয়ে নরসিংদী মডেল ও মাধবদী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। দুই থানার পুলিশ সদস্যরা কথা বলে তাঁকে মাধবদী থানায় নিয়ে যান। কিন্তু থানায় কোনো অভিযোগ না নিয়ে তাঁকে ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়।

ঘটনার চার দিন পর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আবার নরসিংদীতে যান আল-মামুন। এ সময় অভিযোগ দেখে নরসিংদী মডেল থানার ওসি বলেন, ‘আপনি ব্যাংকে চাকরি করেন, এই ভুল কেমনে করলেন? বেঁচে আছেন, শুকরিয়া করে চলে যান।’

প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে নরসিংদী মডেল থানার ওসির সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে একজন উপ পরিদর্শক ফোনটি রিসিভ কররে তিনি বলেন,‘স্যার থানায় নেই। নতুন ওসি স‍্যার দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছেন। আর কিছু বলতে পারব না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ