মাজহারুল ইসলাম রাসেল
চেয়ারম্যান হিসেবে নয় সাধারচর ইউনিয়নবাসীর সেবক হয়ে কাজ করতে চায় নরসিংদীর শিবপুরের সাধারচর ইউপির আনরস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মোঃ মোরশেদ আহমেদ। আগামী ৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকাবাসীর ইচ্ছা ও সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাধারচর ইউপির দুইবারের সাবেক এই সফল চেয়ারম্যান মোঃ মোরশেদ আহমেদ। তিনি গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার সাধারচর ইউনিয়নের শত শত কর্মী এবং ভোটারদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরশেদ আহমেদ’র এলাকায় রয়েছে ব্যাপক পরিচিত। পুরো ইউনিয়ন জুড়ে তাকে ন্যয় বিচারের মূর্তপ্রতিক হিসেবেই চেনে এবং মানেন। তিনি তার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে ইউনিয়নবাসী মনে স্থান করে নিয়েছেন অনেক আগেই। এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ নিয়ে আজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছে। ইউনিয়নবাসীর সুখে-দু:খে তিনি তাদের পরম বন্ধুর মত পাশে থেকেছেন।
মোঃ মোরশেদ আহমেদ সাধারচর ইউনিয়নবাসীর রায় নিয়ে পর পর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাধারচর ইউপিতে এ যাবতকালে যত জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত তদ্মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সফল চেয়ারম্যান ইউনিয়নবাসী মনে করেন।
সাধারচর ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, একজন ভালো মনের মানুষ আনারস প্রতীকের মোরশেদ আহমেদ। চেয়ারম্যান থাকাকালী সময়ে তিনি সুনামের সাথে তার দায়িত্ব পালন করছেন। তৎকালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি গারদ বাজারে একটি ভাঙ্গা ঘরে ছিল। যেখানে পরিষদের কার্যক্রমসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। অনেক প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে সেই স্থান থেকে পরিষদ খোলা ও সুবিদাজনক যায়গায় সুসজ্জিত ভবন নির্মানের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়ে এনেছিলেন চেয়ারম্যান মোরশেদ আহমেদ। শুধু পরিষদ ভবনই নয়, ইউনিয়নবাসী স্বাস্থ্য সেবার সুবিদার্থে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটিও তারই সময়ে নির্মাণ করা হয়। তিনি মানুষের চলাচলের সুবিদার্থে সাধারচর ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি মাটি রাস্তাকে পিচ ঢালায়ের সড়কে রূপ দিয়েছেন। ইউনিয়নবাসী যে কোন বিপদে ছুটে গিয়ে তিনি তাদের দু:সময়ের সাথী হয়েছেন। বিপদ থেকে পরিত্রান পেতে তিনি তার সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
সাধারচর ইউনিয়নের সৈয়দেরখোলা গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সাধারচর ইউনিয়নে আমাদের দু:সময়ে যদি কোন ব্যক্তিকে আমরা পাশে পাই তাহলে শুধু মোরশেদ চেয়ারম্যানকেই পাই। আর সব দুধের মাছি।’ তাই দু:সময়ের সাথী হিসেবে আমরা আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে মোরশেদ চেয়ারম্যানকে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চাই।
বন্যার বাজার এলাকার অপর বাসিন্দা মো. হোসেন আলী বলেন, মোরশেদ চেয়ারম্যান এর আগে দুই সাধারচরের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মত এতো কাজ কোন চেয়ারম্যানই এই ইউনিয়নে করে নাই। তাছাড়া এবার নির্বাচনে যত জন প্রার্থী হয়েছেন। তার মধ্যে মোরশেদ চেয়ারম্যানই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে আমি মনে করি। যদি এবার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হয় এবং আমরা দেশের সাধারণ ভোটার ভোট দিতে পারি তবে মোরশেদ চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
মোরশেদ আহমেদ ছাত্র জীবন থেকে এলাকাবাসীর কাছে একজন উদার মনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এলাকার গরিব-দু:খি মানুষের জন্য তিনি সদা সিদ্ধহস্ত। সেই ছোটবেলা থেকেই এলাকার গরিব-দু;খিদের সাহায্য সহযোগিতায় তিনি ছিলেন উদার। তিনি সবসময়ই এলাকার গরিব দু:খিদের খবরাখবর নিতেন এবং তার সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। ইউনিয়নবাসী তাদের দু:সময়ের এই পরম প্রিয় বন্ধুটিকে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দেথতে চায়।এলাকাবাসীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় তাদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে মোরশেদ আহমেদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার মত প্রকাশ করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মোরশেদ আহমেদ বলেন, সাধারচর ইউনিয়নবাসীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় আমি নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। আমি বরাবরই এলাকাবাসীর মতামতের প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। তাদের মতমতের ভিত্তিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার মনোস্থির করেছি। সেই চিন্তা থেকেই ইউনিয়নবাসী সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমি ১৯৯৭ হতে ২০১১ পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সহিত সাধারচর ইউনিয়নে জনগণের সেবক হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী ৫ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ সাধারচর ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। আমি আশাবাদী ৫ জানুয়ারী সারাদিন সাধারচরের সর্বস্তরের মানুষ আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন। নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে সাধারচর ইউনিয়নের অসমাপ্ত উন্নয়নমুলক কাজগুলো সমাপ্ত করবো এবং সাধারচর ইউনিয়নকে একটি চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্ণীতিমুক্ত ডিজিটাল ইউনিয়ন উপহার দেবো। ইনশাল্লাহ।