খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুরে দাফনের দু’মাস পর কবর থেকে প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ভূইয়া (৩৭) এর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য ১ আগষ্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের সৈয়দনগর (পাচঁভাগ) এলাকা থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান কাওসার এর উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। আনোয়ার হোসেন একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া গত ২৪ মে বাংলাদেশে এসে শিবপুরস্থ বানিয়াদী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাসরত স্ত্রী ও সন্তানদের নিকট আসে। এরই মধ্যে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী সুমি বেগমের সাথে টাকা-পয়সা ও বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি তার ভাই রুহুল আমিন ভূঁইয়াকে জানান আনোয়ার।এরপর গত ২৮ মে সুমি বেগম ফোন করে আনোয়ার হোসেনের অসুস্থতার কথা জানান দেবর মনির হোসেনকে। খবর পেয়ে মনির হোসেন এসে আনোয়ার হোসেনকে অচেতন অবস্থায় শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আনোয়ার হোসেনের ভাই ময়না তদন্তের কথা বললে স্ত্রী সুমি বেগম ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে। এদিকে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করার বিষয় নিয়ে মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সাথে তার ভাই রুহুল আমিনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জুন রুহুল আমিন বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামি করে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।আদালতে মামলাটি শুনানির পর বিচারক শিবপুর মডেল থানায় পাঠিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া নির্দেশ দেয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম কবর থেকে লাশ উত্তোলনের মাধ্যমে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাইলে আদালত ২৮ জুলাই অনুমতি দেয়। আদালতের আদেশ পেয়ে ১ আগস্ট রবিবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য মৃত আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে লাশটি পাঠানো হয়েছে।লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।