খাসখবর প্রতিবেদক
শাসনের ধরণ কি এমন! তা আমার আগে জানা ছিল না। পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক সাংবাদিক পিঠানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথাগুলো বলেন নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও নরসিংদীর খাসখবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজু। সোমবার (১৩ ফেব্রয়ারি)দুপুরে নরসিংদীর পলাশে কর্মরত দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ফারদিন হাসান দিপ্ত (২০) নামে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করলে তিনি এর প্রতিবাদে এ কথা বলেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে পলাশ উপজেলা পরিষদের নিমার্ণাধিন একটি ভবনের ভিতর ওই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফারদিন হাসান দিপ্তর মা আফিয়া বেগম বাদি হয়ে পলাশ থানায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পলাশ থানায় দায়ের করেন। অভিযুক্ত জাহিদ হাসান উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে। ও ঘোড়াশাল পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
অন্যদিকে ফারদিন হাসান দিপ্ত একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি। পাশাপাশি উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের একজন সদস্য।
ফারদির হাসান দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পরিষদের পুকুর পাড়ের সামনে রাস্তায় তার পরিচিত এক ব্যক্তির সাথে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় ঘোড়ারশাল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ দুইজন লোক পাঠিয়ে পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবনে ডেকে পাঠায়। এসময় দিপ্ত কথা শেষ করে একটু পরে দেখা করবে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোড়পূর্বক নিমার্ণাধীন ওই ভবনে ভিতর নিয়ে আনে। পরে সেখানে কোন কথা বুঝে উঠার আগেই কাউন্সিলর জাহিদ তাকে চড় থাপ্পর ও কিলগুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভবনের ভিতর নিমার্ণ কাজে ব্যবহত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তাকে। পরে বেয়াদবি করার কথা বলে পায়ে ধরিয়ে মাপ চায়িয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় আহত ফারদিন হাসন দিপ্ত অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হাসান বলেন, তাকে ডেকে আনার পর সে আমার সাথে বেয়াদবি করায় তাকে শাসন করেছি মাত্র। শাসন কি এভাবে করে? এমন প্রশ্নের জবাবে বন্ধুর ভাগিনা বলে আমি তাকে শাসন করেছিলাম। আমি তাকে শুধু মাত্র গালে ও পিঠে দুই জায়গায় দুইটা থাপ্পর দিয়েছি।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব ও নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যর। অভিলম্বে অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদকে গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।