খাসখবর প্রতিবেদক
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধে অন্যন্য অবদানকারী বীরে মৃত্যূকে জয় করে নেওয়া রাষ্ট্রীয় খেতার প্রাপ্ত বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমানের ৫০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে দেশের জাতীয় বীরের ৫০ তম শাহাদাৎ বার্ষকীতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মরন সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ফাউন্ডেশন।
এর আগে সকালে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জন্মভূমি উপজেলার মতিউর নগর এলাকায় তার প্রতিকৃতিতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন জানানো হয়।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি এম. এ. কাউছার আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছাদেক।
প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক মহসিন খোন্দকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তফা খান, ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম শফিক, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম লিটন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি এটি। গ্রন্থাগারে কিছু বই থাকলেও জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতিচিহ্ন নেই। ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগরে গিয়ে নিশ্চিহ্ন স্মৃতিচিহ্ন দেখে হতাশ হতে হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, মতিউর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাকার ও যাদুঘর নির্মানের পরবর্তি সময়ে নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম কে বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম নাম করন করা হলেও অদৃশ্য কারনে কিছুদিন পর তার নাম পাল্টে মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া নাম করন করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। এমতবস্থায় বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম এর নাম আবার বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে নাম করনের দাবী জানান।