মানাবেন্ড রায়
নরসিংদীর রায়পুরা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪২ দোকানসহ ও গুদাম ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বরিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাজারের উত্তরাংশের তরকারি পট্টি পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
নরসিংদী ও রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনে দুটি মুরগির দোকান, একটি পাইকারি মুদি দোকান, হোমিও প্যাথিক ফার্মেসি, লেপ-তোষকের দোকানসহ ৩৭টি বিভিন্ন দোকানের মালামালের গুদাম ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ায় সার্ভিসে খবর দিলে রায়পুরা ও নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসা পথে যানজটের মুখে পড়ে ঘটনাস্থলে পৌছতে প্রায় ঘন্টা দেড়েক সময় লেগে যায়। যানজট ঠেলে ঘটনাস্থলে পৌছেই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটই আগুন নেবানোর কাজে লেগে যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে এর ফাঁকে ৪৩ টি দোকান ও গুদামঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাজারের একজন পান বিক্রেতা জানান, দুপুরে হঠাৎ আগুন দেখতে পান। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পরর আশপাশের মালামাল রাখার গুদাম ও দোকানে। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দোকানসহ গুদামঘরগুলোর মালামাল সরানো সম্ভব হয়নি। এ সময় আগুন লাগার আশঙ্কায় আশপাশের অনেক দোকানি তাদের মালামাল সরিয়ে নেয় বলে জানান তিনি।
বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন পাল জানান, বাজারে সবচেয়ে বড় পাইকারি মুদি দোকানটি ছিল তার। আগুনে দোকানের মালামাল ও নগদ অর্থ মিলিয়ে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় প্রায় দশ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকরা। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সর্ম্পকে কিছু জানাতে পারেননি তাঁরা।
খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করতে আসেন, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা, মো : আজগর হোসেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি), সাজ্জাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিত কুমার ঘোষ, রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো : আজিজুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন।
নরসিংদী জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে একটি লেপ-তোষকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড ঘটেছে কিনা তা জানতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন জানান, রাস্তায় যানজট থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়। আগুনে সব মিলিয়ে ৪২টি দোকান ও মালামালের গুদাম পুড়ে যায়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।