খাসখবর প্রতিবেদক
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণা কালে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়া ও চশমা প্রতীকের আবিদ হাসান রুবেল নামে দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: সুমন মিয়া নিহত হয়।
বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন রাজিব প্রার্থী সুমন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত সুমন মিয়া রায়পুরা চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নাসুর ছেলে ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
নিহত সুমনের বড় ভাই টিটু জানায়, বুধবার সুমন মিয়া তালা প্রতীকের পক্ষে রায়পুরা চরাঞ্চলে গনসংযোগ এ যান। তার প্রতিপক্ষ প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলও ওই এলাকায় গণসংযোগে যান। দুপুর ২টার দিকে সুমনের গাড়িবহর চরাঞ্চলের পাড়াতলী ইউনিয়নের মিরেরকান্দি এলাকায় পৌছালে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থকদের সাথে মুখোমুখি হয়। তখন উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়। এসময় রুবেল সমর্থিতদের হামলায় থেকে আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় সুমন প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ দৌড়ে বাঁশগাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে চরাঞ্চল থেকে পুলিশী প্রহরায় অ্যাম্বুলেন্সে করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন নরসিংদী-৫ আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়া মৃত্যুতে গোটা রায়পুরায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরউদ্দিন মো: জাহাঙ্গীর বলেন, ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। মূলত তাকে আঘাত করে মারা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশের মোবাইল ফোনে কেশ কয়েকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ সম্ভবত হয়নি।