আজ ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হামলা আহত চ্যানেল আই’র নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন রায় (বামে) ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন ইসমাইল (মাঝে)

মনোহরদীতে সাংবাদিকসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা

খাসখবর প্রতিবেদক

নরসিংদীর মনোহরদীতে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠেছে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে । বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মনোহরদীর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটা রেস্টুরেন্টে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন চ্যানেল আই এর নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি সুমন রায় এবং যমুনা টেলিভিশন নরসিংদীর ক্যামেরা সহকারী ইসমাইল মিয়াসহ বিএনপির আরও ১০ জন নেতাকর্মী। এসময় চ্যানেল আই ও যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা ভাংচুর ও মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরনের আয়োজন করে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঞা জুয়েল। দুপুরে অনুষ্ঠানের শেষ পর্য়ায়ে ১০-১৫ জনের একটি দল অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বিএনপি নেতার্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়। সবশেষ রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে পালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি দুই সাংবাদিকের। সেখানে গিয়ে চ্যালেন আই আর নরসিংদী প্রতিনিধি সুমন রায় ও যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর ক্যামেরা সহকারী ইসমাইল মিয়াকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলাকারীরা পূণরায় সেখানে হামলা করে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবী হামলাকারীরা সবাই মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় কর্মী ।

নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার শামস কেনেডি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাজমুল কবিরের নেতৃত্বে হামলে হয় । বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকও আহত হয়।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঞা জুয়েল বলেন , যারা হামলা করেছে সকলেই মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের কর্মী । তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালায়।

চ্যানেল আই এর নরসিংদী প্রতিনিধি আহত সাংবাদিক সুমন রায় বলেন, তারা ছাত্রলীগ নাকি যুবলীগ তা জানিনা। হামলার সময় রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরের ভেতরে ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি আমাদের। লোহার পাইপ ও রড দিয়ে আক্রমন করেছে তারা। পরে প্রাথমিকভাবে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে এখন নরসিংদী সদর হাসপাতালে আছি।

মনোহরদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজন সম্পর্কে পুলিশ অবগত ছিল না। তবে অতর্কিত হামলায় দু’জন সাংবাদিক আহতের ঘটনা শুনেছি। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং এখন পর্যন্ত কোন মামলা করেনি কেউ। ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিক জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ