আজ ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বেলাবতে বেরসিক দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শালিকার প্রেমিক আহত

মনিরুজ্জামান

নরসিংদীতে শালিকার সাথে প্রেম মেনে নিতে না পেরে মোবারক হোসেন (৩৪) নামে ওই প্রেমিককে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে বেরসিক দুলাভাই আমান উল্লাহ। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে দশটার দিকে বেলাব উপজেলার হোসেন নগর নজীব উদ্দিন খাঁন কলেজের পশ্চিম পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।৭

এঘটনায় আহতের বড় ভাই মোঃ মোখলেছ মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার বেলাব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত মোবারক হোসেন বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত আঃ বাছেদ মিয়ার ছেলে।

লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আহত মোবারক হোসেন ১ নং বিবাদী মোঃ আমান উল্লাহ’র সুমুন্দি টিপুর বন্ধু হওয়ার সুবাদে তার শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে মোবারক হোসেন আমান উল্লাহ’র শালিকার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমান উল্লাহ তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। বিষয়টি জানতে পেরে সে তার শালিকাকে বিয়ে করবে বলে মোবারককে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি প্রদান করে। কিন্তু মোবারক তাতে বিচলিত না হয়ে তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যায়।
এতে আমান উল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে মোবারককে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।

আহতের বড় ভাই মোখলেছ বলেন, গত সোমবার রাতে আমার ছোটভাই মোবারক দোকান বন্ধ করে বাড়ি আসার সময় আমান উল্লাহ তাকে ডেকে নিয়ে আটক করে এবং মোবারককে আটক করেছি তার লাশ নেওয়ার জন্য এম্বুলেন্স পাঠান বলে তার শাশুড়িকে ফোন করে। ফোন পেয়ে মোবারককে উদ্ধার করার জন্য তিনি তার ছেলে টিপুকে পাঠান। কিন্তু ততক্ষণে আমান উল্লাহ ৫/৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, ছোড়া ও লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোবারকের উপর হামলা করে। এসময় তার সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় তারা। তাদের লাঠিসোটা ও এলোপাথাড়ি ছুড়িকাঘাতে মোবারক গুরুতর আহত হয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনায় আহতের বড় ভাই মোঃ মোখলেছ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বেলাব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন,বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মুন্ত মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ (৩৬) ও মাসাকিন মিয়া (৪৫), মৃত আঃ খালেক মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (৪২), মোঃ মরম আলীর ছেলে আবু কালাম (৩৬) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত আমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করে আমান এখানে নেই বলে তা কেটে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বেলাব থানার উপ পরিদর্শক ইমরান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আমান উল্লাহকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা তার বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আমরা তার মা এবং তার সুমুন্দি টিপুর সাথে ও এব্যাপারে কথা বলেছি। পারিবারিক নারী সংক্রান্ত একটি বিষয় থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। টিপুর একদিকে বন্ধু অন্যদিকে ভগ্নিপতি সবমিলিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। তবে আইনগত দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে তিনি সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ