খন্দকার শাহ নেওয়াজ
নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় তিন জনের মৃত্যু ৩৬ ঘন্টা অতিবাহিত হল থানায় কোনো মামলা হয়নি। সহিংসতায় জড়িত কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গোবিন্দ সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহনের পূর্ব মুহূর্তে রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ৩ জন নিহত হয়। ইতোমধ্যে নিহতের ঘটনার ৩৬ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু থানায় এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেনি।
তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযানে পরিচালনা করবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভোররাত থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ককটেল নিক্ষেপসহ গুলি বিনিময় চলে। নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে এ সহিংস ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আশরাফুল হক ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন রাতুলের সমর্থকদের মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন, বাঁশগাড়ির বালুয়াকান্দি গ্রামের হেকিম মিয়ার ছেলে মো: সালাউদ্দিন মিয়া (৩০), বটতলীকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৮) এবং সোবহানপুর গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬)।
নিহত সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন রাতুলের সমর্থক এবং দুলাল মিয়া নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থক।
এই ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত নৌকার প্রার্থী আশরাফুল হক এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে জাকির হোসেন রাতুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।