আজ ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানী নরসিংদীতে ৩৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে

নাসিম আজাদ, পলাশ

নরসিংদীতে পথচলা শুরুর পর বিগত ৪০ বছরে  ১৬ বার ন্যাশনাল এক্সপোর্ট প্রোডাক্টের খেতাবে ভূষিত হওয়র বিষয়টি প্রাণ-আর এফ এল’র  মূল অর্জন । তাদের সাফল্যকে ধরে রাখতে কাজ দেশের সর্ববৃহৎ পল্য প্রস্তুলকারক  প্রতিষ্ঠানটি। ।দীর্ঘ ৪০  বছরের পথচলায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে    বর্তমানে ১২৮  দেশে একোম্পানীর পণ্য  রপ্তানী হচ্ছে। বিশ্বে  এদেশগুলোর  চাহিদাপূরণে নরসিংদীর  ঘোড়াশালসহ দেশে ১৩টি  স্থানে ২৩ টি শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছে  প্রণ-আর এফ এল গ্রুপ।

কোম্পানীটির ৪০ বছরপূর্তি  উপলক্ষে জেলার  সাংবাদিকদের  সাথে এক মতবিনিময় সখায় এমন প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপের কর্মকর্তার এমনটাই জানাায়।  সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১  টায়  নরসিংদীর পলাশে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

মতবিনিময় সভায় জানানো হয় বিশ্বের এতোগুলে দেশের চাহিদপূরণে নরসংদী  জেলর  পলাশে তিনটি কারখানা  গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই  কারখানাগুলোতে   ৩৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপ। এসব কারখানার জনবলের ৯০ শতাংশ স্থানীয়। যেখানে প্রায় ২০ হাজার নারী কর্মী কাজ করছে। এছাড়া স্কুল, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

মতবিনিময় সভায় গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনকালে বলেন, নরসিংদীর জেলা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অত্যন্ত আবেগের একটি স্থান। এখান থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা চালুর মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ তাদের যাত্রা শুরু করে আজ পন্য উৎপদনে  দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।। দেখতে দেখতে গ্রুপটি তার অগ্রযাত্রার ৪০টি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে। নরসিংদীতে আমাদের কারখানা স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্য মূলত এখানকার সম্ভাবনাময় বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে   লাগানো.   যোগাযোগ ব্যবস্থা  ও অনুকূল পরিবেশ।   আমরা সবসময় স্থানীয়দের সহযোগিতা পেয়েছি যার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

কামরুজ্জামান কামাল বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অন্যতম উদ্দেশ্য ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন।  নরসিংদীতে আমাদের তিনটি কারখানায় শতাধিক প্রোডাকশন লাইন রয়েছে আমরা আগামী দিনে ইলেকট্রনিক্স, লিফট, মেনুফেকচারিং, ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ও রিসাইক্লিনসহ কয়েকটি খাতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর ফলে আমরা আগামী দুই বছরের মধ্যে আরো দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন দুর্যোগে নরসিংদীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। করুণা মহামারীতেও আমরা আমাদের সাধ্যমত মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করেছি। আমাদের সান হেলথ কেয়ার এখন স্বল্প পরিসরে নরসিংদীর মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। যা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামীতে এটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের রূপান্তর করতে কাজ চলছে। আর এটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার স্বাস্থ্যসেবায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। প্রান আর এফ এল পাবলিক স্কুল ও সুনামের সাথে শিক্ষা প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা আমাদের আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।

প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের নির্বাহী পরিচালক কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম মিয়া বলেন, এখানকার পরিবেশ ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার কারণে আমরা নতুন নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছি ও সফল হচ্ছি। স্থানীয় মানুষ, গণমাধ্যম ও প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে আমরা কখনই এতদূর আসতে পারতাম না। প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কারখানা পরিচালনায় পরিবেশের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নরসিংদীর তিনটি কারখানাতেই আমাদের ইটিপি রয়েছে যার মাধ্যমে উৎপাদিত সব ধরনের বর্জ্য শোধন করা হয়ে থাকে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপেরঘোড়াশাল কাররখনার জেনরেল  ম্যানেজার  দীপক দে,  সিনিয়র ম্যানেজার ফজলে রাব্বী, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জনসংযোগ তৌহিদুজ্জামান, প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সিনিয়র ম্যানেজার এডমিন মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদরা প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনাদি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সেসকল দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সাংবাদিকরা প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ