খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীর পলাশে আন্ত:জেলা ছিনতাইকারী চক্রের ৭ নারী সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন মিনারা বেগম, জায়েদা আক্তার, রোজিনা বেগম, সোনিয়া বেগম, আফিয়া বেগম, ডলি আক্তার ও ফুলতারা বেগম। তাদের বয়স ২১ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। প্রত্যেকের বাড়ি ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা।
পুলিশ জানায়, উপজেলার নরসিংহারচর গ্রামের দেলোয়ার ভূইয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার পূর্ব পলাশের দড়ি হাওলা পাড়ার একটি বাসায় আরবি পড়ান। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আরবি পড়ানো শেষ করে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ৭ নারী চালককে অটোরিকশা থামানোর সংকেত দেয়। অটোরিকশাটি থামাতেই তারা উঠে পড়ে এবং ভুক্তভোগী সোমা আক্তারের দুইপাশে চাপাচাপি করে বসে যায়। অটোরিকশাটি পারুলিয়া মোড়ে আসার আগেই সুকৌশলে সুমার গলার চেইন ও কানে দুল নিয়ে যায়। এক সময় তিনি গলায় ও কানে হাত দিয়ে স্বর্ণালংকার না পেয়ে বিষয়টি সহজেই বুঝে যান এটা ওই ৭ নারীর কাজ। আর এরা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। অটোরিকশাটি পারুলিয়া মোড়ে পৌছলে তিনি চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। তার চিৎকারে লোকজন ছুটি এসে চক্রটিকে আটক করেন।
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে, পলাশ থানা পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় তাদের শরির তল্লাশি করে ভুক্তভোগীর স্বর্ণালংকারের মধ্যে কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
সোমা আক্তার বলেন, ‘আমার গলায় ও কানে হাত দিয়ে স্বর্ণে জিনিস না পেয়ে বুঝতে আর বাকী থাকল না যে এটা এদেরই কাজ। তাই অটোরিকশাটি পারুলিয়া মোড়ে আসলে আমি চিৎকার করতে থাকি। আমার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে চক্রটিকে ধরে ফেলে।’
এ ব্যাপারে সোমা আক্তার বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগন্জ ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে ছিনতাই ও চুরি করে আসছে। তারা আন্তজেলা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।