আজ ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শান্তির নিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক সামসুল আলম দীপ্তি

মো: শাহাদাৎ হোসেন রাজু

পরম শান্তির নিদ্রায় শায়িত হলেন নরসিংদীর সাংবাদিকমহলের প্রিয় ব্যক্তি সামসুল আলম দীপ্তি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১ টায় নরসিংদী সদর উপজেলার তার গ্রামের বাড়ী করিমপুর স্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক সামসুল আলম দীপ্তি গত প্রায় ৮/১০দিন যাবৎ ঠান্ডা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হলে বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। পরে এম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে টঙ্গি পৌছলে রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। (ইন্না-লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি দুই কন্যা ও স্ত্রীসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সদা হাস্যোজ্জ্বল সাংবাদিক দীপ্তি মৃত্যুতে নরসিংদী প্রেসক্লাব, নরসিংদী জেলা রিপোর্টাস ক্লাব, জোনাকী টেলিভিশন পরিবার ও জেলার সকল সাংবাদিক সমাজ শোকাহত। সকলের প্রিয় দীপ্তি ভাইয়ের মৃত্যূশর বিষয়টি অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছেনা। এতো তাড়াতাড়ি তার এই চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেনা বন্ধু-বান্ধবসহ সাংবাদিক মহল।

সাংবাদিক সামসুল আলম দীপ্তি তার জীবনদশায় দৈনিক বর্তমান দিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ দিন নরসিংদী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকের চেতনা পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের আমৃত্যূ সদস্যসহ নবগঠিত কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি অত্র ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বরত ছিলেন। সংবাদ লেখনিতে সিদ্ধহস্ত এই সাংবাদিকের আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত।

জেলার এই সিনিয়র সাংবাদিক তার লেখনির মাধ্যমে নরসিংদীর পাঠক সমাজ ও সাংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন। তার প্রায় ৩০ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে অনেক সংবাদ কর্মীদের সংবাদ লেখার নিয়ম-কানুন ও কলা-কৌশল হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছেন। নরসিংদীসহ দেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক তার হাতে গড়া। তিনি তার সততা ও নিষ্ঠায় সবার অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। সবার প্রিয় দীপ্তি ভাই হয়তো চলে গেছেন না ফেরার দেশে কিন্তু তার স্মৃতি জেলার সাংবাদিক সমাজ বয়ে বেড়াবে যুগ যুগ। তার সেই ক্ষুরদার লেখনির অভাব বোধ করবে নরসিংদী জেলার পাঠক ও সাংবাদিক মহল।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ