খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলা ও শহর তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার প্রতিবাদে জেলা ও শহর তাঁতী লীগের যৌথ উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নরসিংদী শহরস্থ শেরেবাংলা ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী জেলা ও শহর শাখা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু ও হিরু সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে
বলেন, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে নরসিংদী জেলা ও শহর শাখা তাঁতী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
তিনি জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ তাঁতী লীগ এর প্যাডে তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ এর যৌথ স্বাক্ষরিত নরসিংদী জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটি এবং এরপরের দিন অর্থাৎ গত ২ সেপ্টেম্বর শহর তাঁতী লীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। কমিটি বিলুপ্ত করার সময় উক্ত প্যাডে উল্লেখ করেন বার বার তাগিদ দেওয়া শর্তেও আমি সন্মেলন করছিনা বিধায় উক্ত কমিটি দুটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে বলতে চাই, বাংলাদেশ তাঁতী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠন। গঠনতন্ত্র ও সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী জেলা কমিটির ( আহবায়ক) হিসেবে যিনি দায়িত্বে আছেন তার বরাবর কেন্দ্র হতে লিখিত বা পত্র প্রদান বা সন্মেলন করার নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত করে দেন। এসবের কিছুই না করে সংগঠনের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে জেলা ও শহর তাঁতী লীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এর আগে কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া আমাকে মৌখিকভাবে বলে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র দেবনাথকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তা না হলে জেলা ও শহর কমিটি বিলুপ্ত করা হবে। আমি সময় মতো ওই টাকা দিতে না পারায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে জেলা ও শহর তাঁতী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক হিসেবে দীর্ঘ ৪ বছর যাবত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোন সময় সংগঠন বিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলাম। আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক দক্ষতা ও মেধা দিয়ে নরসিংদী জেলা তাঁতী লীগকে একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন জেলা তাঁতী লীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে সমর্থ হই । বিগত সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলীয় সকল কর্মসূচিতে নরসিংদী জেলা ও শহর তাঁতী লীগের ব্যানারে সফলভাবে তা পালন করি। যা আপনাদের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। মুজিব আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা ও ৬টি পৌরসভায় তাঁতী লীগের কমিটি গঠন করে তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীরা স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের মত এত বড় সংগঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রথম সারির দুই একজন নেতাদের দায়িত্বহীনতার কারণে সংগঠন আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আমি আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নিকট আবেদন জানাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এইসব দায়িত্বহীন নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সোনার বাংলা গঠনে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের নরসিংদী জেলা ও শহর শাখা তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীদের চলমান অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণে রাখতে আজ্ঞা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহর তাঁতী লীগের আহবায়ক হিরু সরকার, শহর তাঁতী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু তাহের ভূঁইয়া বন্যা, কাজল মিয়াসহ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।