মাধবদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আলম মিয়া (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাচঁদোনা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করেছে তার কর্মী-সমর্থকরা। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও বিএনপি নেতা মোছাদ্দেকের কর্মী সমর্থকদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখা হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল।মৃত আলম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের পুত্র।তিনি পাঁচদোনা ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নরসিংদীর পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তার, এলাকার নিয়ন্ত্রন ও সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি লাল মিয়া ও স্থানীয় বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় পাঁচজন । এই সংর্ঘষে আলম মিয়া মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে আলম মিয়া মারা যায়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেলে পূনরায় দেশীয় অস্ত্রনিয়ে দুপক্ষ মহরা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় নেতা-কর্মীরা । খবর পেয়ে পু্লিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর মারামারি ঘটনায় লালমিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে প্রধান আসামী করে আরো ১৯ জনকে আসামী করে মাধবদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আলম মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে তারা। বর্তমানে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সংর্ঘষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।