জুবায়ের আহমেদ
নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পৃথক দুটি স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকও হেলপারসহ তিনজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোররাতে শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় এলাকায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এবং সকালে বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় কার্ভাডভ্যান ও ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহী খাদেমুল (২৭) এর পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তিনি ঢাকার মিরপুরের কালশী এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোটরসাইকেল গ্যারেজের ব্যবসা করতেন। বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানী সূত্রে জানা যায়, খাদেমুলসহ কয়েকজন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে সুনামগঞ্জে ঘুরতে গিয়েছিলো। ঘুরাঘুরি শেষ করে তারা বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরছিলো। খাদেমুল ভোর ৪ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় এলাকায় পৌঁছলে সড়কের মোটরসাইকেলটি চাকা গর্তে মধ্য পড়ে। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী মোটরসাইকেলসহ ছিটকে সড়কের মাঝে পড়ে গেলে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের দ্রুতগামী একটি বাস ওই ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে সকালে ইটাখলা থেকে একটি ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান ভৈরবের দিকে যাচ্ছিলো। কার্ভাডভ্যানটি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে সজোড়ে সামনে থাকা ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে কার্ভাডভ্যানটির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই কার্ভাডভ্যানের চালক ও হেলপার মারা যায়। আর ট্রাকটি পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
ইটাখলা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, আমরা ঘাতক বাসটি আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের পরিচয় উদ্ধারে কাজ চলছে।