জুবায়ের আহমেদ জনি
অবশেষে মৃত্যুকে জয় করেছেন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনে পঙ্গুত্ববরণ করে দীর্ঘ ১০ বছর শষ্যাশায়ী থাকা নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল হক লিমন (৩২)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার করতেতৈল গ্রামস্থ তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে বাবা-মা, এক বোন, স্ত্রী-শিশু কন্যাসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তানজিরুল হক লিমন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার করতেতৈল গ্রামের সাইদুল হক সরকারের ছেলে। সে ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে । তার স্ত্রী এডভোকেট শারমিন সুলতানা, নরসিংদী জজকোর্টের একজন আইনজীবি।
এদিকে যুবদল নেতা তানজিরুল হক লিমনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যূর খবরে ছুটে আসেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ, সিনিয়র সহ সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ জানান, প্রায় ১০ বছর আগে নরসিংদীর আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন তানজিরুল হক লিমন। পরবর্তী সময়ে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় লিমনের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এ ঘটনায় আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করে শষ্যাশায়ী হন এই যুবদল নেতা। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকার পর আজ (মঙ্গলবার) সে মারা গেছে। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করেন।
সিনিয়র সহ সভাপতি শাহেন শাহ শানু বলেন, ‘তানজিরুল হক লিমন ছিলো আমার খুব কাছের এবং পছন্দের একজন সহকর্মী ছোট ভাই। তার এই চলে যাওয়া নরসিংদী জেলা যুবদল একজন তারুণ্যদীপ্ত যুবনেতাকে হারিয়েছে।’
মরহুমের চাচাত ভাই মো: এনামুল হক সরকার জানান, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বুকে ব্যাথা উঠে তানজিরুল হক লিমনের। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে চারটায় করতেতৈল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।