খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীতে নির্বাচনে হেরে গিয়ে লিচু মেম্বার নামে বিপক্ষ প্রার্থীর এক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত লিচু মেম্বার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামের শাহাজ উদ্দিনের ছেলে এবং তিনি ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি বর্তমানে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত লিচু মেম্বারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত করিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে লিচু মেম্বার নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমিনুর রহমান আপেলকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে কাজ করে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা গোলাম কিবরিয়া ও তার সমর্থকরা লিচু মেম্বারের উপর ক্ষুব্ধ হয়। নির্বাচনে হেরে গেলে কিবরিয়া সমর্থকরা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে করিমপুর বাজারে দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে করিমপুর সড়কের তিন রাস্তার মোড় ব্রিজের সামনে আসলে অহিদুল্লাহ, স্বপন ও আজমিরের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তার গতিরোধ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হাতুড়ি লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে তার সারা শরির থেতলে দেয়। এসময় তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোক ছুটে আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। বতর্মানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে আহত লিচু মেম্বারের ছোট বোন মরজিনা বেগম বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিহি আক্তার জানান, হাসপাতালে আনার পর আহত লিচু মেম্বারের শরিরের বেশ কিছু অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। বিভিন্ন পরীক্ষ-নিরিক্ষা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া গেলে। রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝা যাবে।
এলাকাবাসী জানায় এর আগেও এই সন্ত্রাসী দলটি বাউশিয়া গ্রামে কয়েক দফা হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এক নারীর শ্লীলতাহানি চেষ্টা চালায় ওই ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে হামলাকারীদের মধ্যে আজমিরের মোবাইল (০১৮৬৯-৪৭২৭৪০) নাম্বারে বারবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে ঘটনার এক সপ্তাহ গত হয়েছে। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলার বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।