জুবায়ের আহমেদ জনি
নরসিংদীতে গুদামগুলোতে বস্তা ভর্তি চালের মজুত থাকা সত্ত্বেও বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এত চাল মজুত থাকার পরও দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খাতে খরচ বেড়ে গেছে। এ কারণে নরসিংদীতে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। ময়মনসিংহ, শেরপুর, আশুগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নরসিংদীতে চাল আনতে ট্রাক ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নরসিংদী বড় বাজারে বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা যায় প্রায় সবগুলোই চালে পরিপূর্ণ। মিনিকেট, নাজিরশাইল ও মোটাচালসহ বিভিন্ন রকমের চালে সয়লাব। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই নরসিংদীতে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। খুচরা ক্রেতাদের দাবি, এভাবে প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে মরা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
নরসিংদী বড় বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা আব্দুল সালাম মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারের চালের দাম মিনিকেট ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বেচাকো কমে গেছে। এখন বাজারে আগের মতো ক্রেতা আসে না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা ব্যবসা করে টিকে থাকতে পারব না।’
অমিত সাহা নামে অপর এক খুচরা বিক্রেতা জানান, ৫০ কেজিপ্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। পরিবহন খরচের তুলনায় খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বেশি।
চাল কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহের তিনি যে চাল ৪৬ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে গেছেন আজ তা ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বাড়ছে কোন না কোন জিনিসের দাম এভাবে চলতে থাকলে আমরা খাব কি? জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয়তো বাড়েনি। আয়ের সাথে ব্যয় করতে হলে আমাদের না খেয়ে মরা ছাড়া কোন গতি থাকবেনা।
নরসিংদীর আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধিতে গত কয়েক দিনে চালের দাম প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, যদি তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়, তাহলে চালের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।