আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী দুই বা তিন মাসের মধ্যে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকেও।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) চীনের সরকারি একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী দেশটির করোনার চলমান প্রাদুর্ভাব নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে দেওয়া পোস্টে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান মহামারী বিশেষজ্ঞ উ জুনিউ বলেছেন, চলমান চন্দ্র নববর্ষের ছুটির সময় জনগণের গণ-চলাচল মহামারীর আরও বিস্তার ঘটাতে পারে। এই সময় কিছু এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা নেই।
কোটি কোটি চীনা নাগরিক চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে পরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হওয়ার জন্য দেশজুড়ে ভ্রমণ করছেন। সম্প্রতি কোভিড বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর দেশটিতে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। আর নববর্ষ উদযাপন ঘিরে দেশটির প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় নতুন প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চীনে জ্বরের রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত ক্লিনিক, জরুরি সেবা কক্ষ এবং গুরুতর রোগীদের সেবাদান কেন্দ্রগুলোতে কোভিড রোগীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, চীন হঠাৎ করে শূন্য-কোভিড নীতি বাতিল করার প্রায় এক মাসে (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত) কোভিডে আক্রান্ত প্রায় ৬০ হাজার জন রোগী হাসপাতালে মারা গেছেন।
এদিকে চীনে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো সতর্কতা অবলম্বর করছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে সতর্কতার সহিত সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।