মাজহারুল ইসলাম রাসেল
`ভোট আপনার পবিত্র আমানত তাই আপনার আমানত’, আগামী ২৮ তারিখে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে তা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার। ভোটারদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বলেন নরসিংদীর চিনিশপুরে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী সায়েম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন বিগত সময়ে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব। বিগত নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও আপনাদের সেই ভোট ছিনতাই করে নিয়ে যায় ভোট ডাকাতরা। ভোট ছিনতাই করে যারা নির্বাচিত হয়েছে, তারা গত ৫ বছর চিনিশপুর তথা চিনিশপুরবাসির উন্নয়নে কতটুকু কাজ করেছেন তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।। নির্বাচনে ভোট ছিনতাই করে আমাকে পরাজিত করা হলেও আমি কিন্তু আমার সেই ভোটারদের ভুলে যাইনি। গত ৫টি বছর আমার সাধ্যমত আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি তা আপনারা ভালভাবেই অবগত আছেন। সেজন্যই ২৮ তারিখ রবিবার এলাকাবাসীকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে আপনাদের সেই আমানত ভোট ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিতাস গ্যাস মোড়ে তার নির্বাচনী ক্যাম্পে প্রচারণার অংশ শোডাউন শেষে চিনিশপুরবাসিকে এ আহ্বান জানান তিনি ।
তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর রবিবার সারাদেশেসহ জেলার ২২টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে আর মাত্র একদিন বাকী। আজ মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে নির্বাচনী সকল প্রচার-প্রচারণা।
প্রচারণার এসময়ে সরেজমিনে চিনিশপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত জনমত জড়িপে একজন সৎ, ন্যায়-নিষ্ঠাবান ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে এগিয়ে আছেন তালা প্রতিকের সায়েম ভূঁইয়া।
তাই ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ৩ নং ওয়ার্ডবাসী তার পক্ষে রায় দিবেন বলে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
গত কয়েকদিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে তালা প্রতিক নিয়ে ইউপি সদস্য পদ প্রার্থী সায়েম ভূঁইয়া। তিনি ভোটারদের ঘরে ঘরে ঘুরে ভোট প্রার্থণাসহ দোয়া কামনা করছেন। ভোটাররাও দিচ্ছেন প্রত্যাশা, সেই সাথে শুনিয়েছেন আশার বাণী। এলাকায় মানব দরদী, ক্রিড়ামোদী, দানশীল সমাজসেবক হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। এই তরুন সমাজ সেবককে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে চিনিশপুরবাসী জানেন এবং মানেন।
বিগত করোনা পরিস্থিতিতে সমাজের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি নিজেদেরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে চার দেওয়ালে বন্দি থেকেছেন। অথচ এই মানব দরদী সব কিছুকে উপেক্ষা করে নিজ উদ্যোগে এলাকার অসহায় কর্মহীন ১ হাজার ৩০ টি পরিবারের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার সহযোগিতার হাত। এর জন্য তাকে তার শখের মোটরবাইকটিও বিক্রি হয়েছে। কিন্তু তিনি এতেও উদ্বিগ্ন ছিলেন না বরং তিনি পরিবারের লোকদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। শুধু করোনাকালীন সময়ই নয়, তীব্র এ শীতে এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে, এলাকার কিশোর, তরুনসহ যুব সমাজ যেন মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ের সে জন্য তাদেরকে খেলাধূলায় পৃষ্টপোষকতা করে থাকেন। তিনি সব সময় এলাকার অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় সচেষ্ট থাকেন বলেই এলাকার সকলের কাছে তিনি সকলের প্রিয় সায়েম ভাই। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আচার অনুষ্ঠানসহ শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। এলাকার মানুষের যেকোন বিপদ-আপদসহ দু:সময়ে এগিয়ে যাওয়াটাকে নিজের দায়িত্ব মনে করেন তরুন এই সমাজসেবী সায়েম ভূঁইয়া।
এলাকার গরীব দু:খিদের জন্য সদা উদার হস্ত সায়েম ভূঁইয়ার তালা প্রতিকের পক্ষে চিনিশপুর গ্রামের নারী-পুরুষসহ তরুনরা রায় দেওয়া প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সুমন নামে চিনিশপুর গ্রামের এক ব্যক্তি ( পেশায় অটোরিক্সা চালক) বলেন, ‘সায়েম ভাই আমাদেরকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতই জানেন। যে কোন বিপদে তিনি সবার আগে ছুটে আসেন। এই বার আমগো এই ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী। আমি মনে করি এই ৬ জনের মধ্যে সবদিক দিয়া সায়েম ভাই যোগ্য।’
সজিব ভূঁইয়া নামে চিনিশপুর এলাকার এক যুব বলেন, এইবার যোগ্য ব্যক্তি বেছে নিতে ভুল করবে না চিনিশপুরের মানুষ। পরোপকারী মানুষ হিসেবে সায়েম ভাইকে সবাই চিনেন। তিনি নির্বাচিত হলে সমাজ সংস্কার, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে। সে হিসেবে আমি মনে করি দু:সময়ের যাকে কাছে পাওয়া যায় েএবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সায়েম ভাইকে ভোট দেওয়া উচিত।
রুমি নামে এলাকার এক গৃহিনী বলেন, নির্বাচনে যারা দাঁড়াইছে অন্য সময় তাগো কারোরেই দেখা যায়না। একমাত্র তালা মার্কার সায়েম ভূঁইয়াকেই সব সময় মানুষে বিপদে-আপদে ছুটে আসতে দেখা যায়। হয়তো অন্য প্রার্থীগো মতন সায়েমের টাকা পয়সা না থাকতে পারে। কিন্তু হের একটা বিশাল মত আছে যা অন্য কারো নাই। আমি মনে করি চিনিশপুরের মানুষ যদি সায়েম ভাইয়ের তালা মার্কায় ভোট না দেয় তা হলে অনেক বড় ভুল করবো।
ক্ষমতা কিংবা বিত্তশালী হওয়ার ভাষণা নয়, বরং একজন সমাজসেবী হিসেবে তার কাজের পরিধি বাড়িয়ে সমাজের উচু-নিচু সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সেবা এবং নাগরিক সুবিদা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্রত নিয়েই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তালা মার্কার সায়েম ভূঁইয়া।
তরুন এই সমাজসেবক সায়েম ভূঁইয়ার চিনিশপুর গ্রামের সর্ব মহলেই রয়েছে গ্রহণ যোগ্যতা। শুধু মুসলমানদের কাছেই নয় তার ন্যায়-নিষ্ঠার জন্য হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে ইতোমধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন কারো ভাই, কারো বন্ধু আবার কারো কাছে পুত্রসম আপনজন। সায়েম ভূঁইয়ার তালা প্রতিকে এরই মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা পড়েছে। পুরো ৩ নং ওয়ার্ডে এখন তালা মার্কার জয় জয়কার।