আজ ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমদিয়ার রিপনের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগ।

খাসখবর প্রতিবেদক

ভূয়া ওয়ারিশ ও পরে নিবন্ধনকৃত দলিল দিয়ে বীর মুক্তিযুদ্ধার পুত্রের জমি দখলের অভিযোগে উঠেছে আমদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন ভূঁইয়া রিপনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মাধবদী থানাধীন আমদিয়া ইউনিয়নের আখালিয়া ও কান্দাইল এলাকায়।

আমদিয়া ইউনিয়নের আখালিয়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হাইয়ের ছেলে দেলোয়ার হোসেন এর ভোগদখলীয় জমি আত্মসাত্রের এ অভিযোগ উঠে।

সরেজমিনে আখালিয়া এলাকা ঘুরে অভিযযোগকারীর তথ্য মতে, কান্দাইল মৌজার এস এ রেকর্ডে গিরিশ চন্দ্র গোপ মালিক থেকে মৃত্যুবরন করেন । অতপর গিরিশ চন্দ্র গোপের ছেলে সন্তোস চন্দ্র গোপ পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়। আর এস খতিয়ানে মালিক হয়ে ১৯৮৩ সালে ১০৮৮৫নং দলিলে রহমত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাই’র ছেলে আমি দেলোয়ার হোসেন’র নিকট বিক্রি করে নিস্বত্তবান হন।

আমদিয়ার নাজিম উদ্দিন রিপন বিষয়টি অবগত থাকা সত্ত্বেও সন্তোষ চন্দ্রকে নি:সন্তান দেখিয়ে নিজে ওয়ারিশ সনদ দিয়ে নরেশ ও পরেশ নামে তার দুইজন চাচাত ভাই থাকলেও অনৈতিক ভাবে শুধু মাত্র নরেশকে ওয়ারিশ দেখিয়ে নিজের পকেটের লোকদের নামে ওই জমির পাওয়ার করে বিভিন্ন কোম্পানীর নিকট বিক্রি করেন।

অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভোগদখলীয় ৪৫ শতাংশ জমি ১৩১৬৫/১৮ দলিলে কাওলা করে নামজারী করে নেন রিপন।

দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন, নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া রিপন চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে এলাকায় প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে। এই নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া রিপন একজন সুবিধাবাদী লোক।

এদিকে নিরুপায় হয়ে গত ২২ আগস্ট ভুক্তভোগি দেলোয়ার হোসেন নিজের জমি ঠিক রাখতে নাজিম উদ্দিন রিপনের নামজারির বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নরসিংদী সদর এর বরাবর নামজারি বাতিল করে দেলোয়ার হোসেন’র নিজ নামে নামজারির দেওয়ার আবেদন করেন।

এব্যাপারে স্থানীয় ইউ পি যুবলীগ আহ্বায়ক রাসেল বলেন, রিপন একজন সুবিধাবাদী, দল ও লীগ হিসেবে ক্ষমতাপুষ্ট হয়ে ইউনিয়নের অনেক মানুষের সম্পত্তি গ্রাস করেছেন। আমি নিজেই এর একজন ভূক্তভোগি।

আমদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল্লা ইবনে রহিছ মিঠু’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দেলোয়ার হোসেন’র জমি সাবেক চেয়ারম‍্যান রিপন সাহেব নামজারি করে নিয়েছে। বিষয়টি আমাকে অবগত করেছে।আমি উপজেলা ভূমি অফিসের সহযোগিতা নিতে বলেছি।
সাবেক চেয়ারম‍্যান রিপন সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তিনি ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং রিপনের প্রভাব হতে মুক্তি দিতে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ