খাসখবর প্রতিবেদক
নরসিংদীতে অন্ত:সত্ত্বা পুত্রবধূ শিখার (২০) (হাসপাতালের রেজিষ্ট্রারে এন্টি হওয়া নাম) গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে শাশুড়ি তারার মা (এলাকায় এ লামে পরিচিত)। এসময় আগুনে জলসে ওই অন্তসত্ত্বা শিখার শরীরের পিঠ ও কোমড়ের নিচের বেশ কিছুটা অংশ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পৌর শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার (শিয়াইল্যা পুকুর পাড়ের পাশে) তারার মায়ের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এসময় বাহিরের লোকজন যেন বাড়ীর মধ্যে ঢুকতে না পারে সে জন্য ভিতর থেকে গেইট লাগিয়ে রাখা।
আগুনে জলসে যাওয়া শিখা স্থানীয় পশ্চিমকান্দা পাড়া মহল্লার কাজল সাহার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ী পলাশের জিনারদী এলাকায়। প্রায় দুই বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে শিখা ও কাজল সাহার বিয়ে হয়। বর্তমানে শিখা ৫মাসের অন্ত:সত্ত্বা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টা দিকে তারার মায়ের বাড়িতে ভিতরে নারী কন্ঠের আর্তচিৎকার শুনতে পায় এলাকাবাসী। এসময় ভিতর থেকে গেইট বন্ধ করে রাখে বাড়ীর লোকজন। এলাকাবাসী আর্তচিৎকার শুনে গেইটের সামনে এসে অনেক ডাকাডাকির পরও কেউ গেইট খুলে দেয়নি। প্রায় ২ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে পিঠ ও কোমড়ের নিচের বেশ কিছুটা অংশ আগুলে জলসে যাওয়া শিখাকে ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসে স্বামী কাজল সহ বাড়ী অন্যান্যরা। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বামী কাজল সাহা স্ত্রী শিখাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, গেইট খোলার পর বাড়ীর লোকজন গ্যাসের চুলার আগুনে অন্ত:সত্ত্বা শিখার গায়ে আগুন লাগার কথা এলাকাবাসীকে জানানো হয়। তবে তারার মা নামে শিখার শাশুড়িকে বদরাগি ও ঝগড়াটে মহিলা হিসেবেই জানে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া এব্যাপারে অবগত নন বলে জানান। তবে বিষয়টি যেহেতু সেন্সেটিভ তাই এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।